https://tipswali.com/wp-content/uploads/2021/12/NATIONAL-ID-CARD.jpg

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভোটার আইডি কার্ড (National Identity Card) খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে চাকরি, কোন কিছু রেজিস্ট্রেশন, কেনাকাটা সহ নানা কাজে ভোটার আইডি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) ভোটার আইডি কার্ড নামে পরিচিত।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো- বাংলাদেশে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম, কি কি তথ্যের প্রয়োজন হবে, কারা ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবে ও এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

>> প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার উপায়

নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্যতা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলে আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা। চলুন এপর্যায়ে বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক-

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • নুন্যতম ১৬ বছর বয়স বা তার বেশি।
  • আগে ভোটার হয়নি এমন ব্যাক্তি।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বর্তমানে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে পূর্বের তুলনায় বেশি কাগজপত্র জমা দিতে হয়। আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে চান, তাহলে ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে তা নিচে দেওয়া হলো-

জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি, মা-বাবার ভোটার আইডি কার্ডের কপি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, স্কুল/কলেজের সার্টিফিকেট থাকলে ফটোকপি, রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হলে তার কপি, বিদ্যুৎ বিলের কপি। তবে অনেক সময় জমির মালিকানার কাগজপত্রের কপিও জমা দেওয়া লাগতে পারে।

ভোটার আইডি কার্ড করার ধাপগুলো

বাংলাদেশে নতুন ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র আপডেট একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট সময় পর পর বাংলাদেশে আদমশুমারির সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। আর যারা সে সময়ে বাদ পড়ে বা বয়স কম থাকে তারা এখন অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়। ধাপগুলো হচ্ছে-

ধাপ-১ঃ আবেদন ফরম পুরন

এখানে ক্লিক করে অনলাইনে ফরমটি পূরণ করুন এবং ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। আবেদন ফরমটি পূরন করার সময় আপনার সার্টিফিকেটের সাথে মিলিয়ে ও বার বার চেক করে তথ্য প্রদান করুন।

ধাপ-২ঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা

অনলাইনে আবেদন করার পর উক্ত আবেদনটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আপনি যে ঠিকানা প্রদান করেছেন সেই সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ে আপনার জমা দেওয়া তথ্য ও কাগজপত্র সত্য না মিথ্যা যাচাই করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য ডাকা হবে।

ধাপ-৩ঃ ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান

ছবি ও আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হলে আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। স্লিপটি সংরক্ষণ করুন, প্রয়োজনে ছবি তুলে বা আরও কয়েক কপি প্রিন্ট করে কয়েক যায়গায় রেখে দিন যাতে হারিয়ে গেলে বা প্রয়োজনে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

ধাপ-৪ঃ ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ

প্রাথমিক ভাবে আবেদনটি অনুমোদিত হলে আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস (SMS From Election Commission) আসবে। আবেদন করার সময় দেওয়া তথ্য দিয়ে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন এবং আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করুন।

ধাপ-৫ঃ স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশন এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের ভোটারদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড প্রদান করছে। আপনার ছবি তোলা ও বায়মেট্রিক তথ্য প্রদান শেষ হলে আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড থেকে আপনাদের স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের দিন ও সময় জানিয়ে দিবে। আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা জানতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে স্লিপ নাম্বার দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন হতে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?

জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি, মা-বাবার ভোটার আইডি কার্ডের কপি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, স্কুল/কলেজের সার্টিফিকেট থাকলে ফটোকপি, রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হলে তার কপি, বিদ্যুৎ বিলের কপি।

সর্বশেষ

অভিনন্দন, এখন আপনি জানেন কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে হয়। NID করার নিয়ম নিয়ে আপনার কোন মতামত জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে লিখতে পারেন আমাদের কাছে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

আর পড়ুনঃ পাসপোর্ট করার নিয়ম