https://tipswali.com/wp-content/uploads/2021/11/janata-bank.jpg

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক লিমিটেড অন্যতম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড নিয়ে গঠিত হলেও স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের আওতায় ব্যাংকটি জাতীয়করণ করা হয়। তবে ২০০৭ সালে জনতা ব্যাংক লিমিটেড কর্পোরেটভুক্ত হয়। বর্তমানে জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর মোট ৯১২ টি শাখা রয়েছে। প্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ঋনদান কর্মসূচী পালন, ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা, বিল পরিশোধ, লকার সার্ভিস প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড বর্তমানে ১৩ ধরনের লোন প্রদান করে থাকে।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আলোচনা করবো জনতা ব্যাংক লিমিটেড-এর বিভিন্ন প্রকার লোন, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদনের নিয়ম ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড ঋণ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে।

Table of Contents

জনতা ব্যাংক লিমিটেড-এর বিভিন্ন প্রকার লোন সম্পর্কে বিস্তারিত

১) জনতা ব্যাংক কৃষি ঋণ (Agriculture Loan)

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হওয়া স্বত্তেও বাংলাদেশের কৃষকগন সামাজিক ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই অবহেলিত। বাংলাদেশের বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক কৃষি লোন প্রদান করে থাকে। সকল প্রকার মাছ চাষ, ফল-ফুল চাষ, গবাদিপশু পালন, গবাদি পশু মোটজাতকরন, তেলবীজ জাতীয় ফসল উৎপাদনের জন্য এই জনতা ব্যাংক কৃষি লোন প্রদান করে থাকে।

জনতা ব্যাংক কৃষি লোনের যোগ্যতা ও শর্ত:

কৃষি ঋণ পাওয়ার জন্য বা লোন পেতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিকে অবশ্যই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকতে হবে। মূলত ফসল উৎপাদনের পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তে ৯% সুদে (সুদের হার পরিবর্তনশীল) জনতা ব্যাংক কৃষি ঋণ প্রদান করে থাকে। যেখানে জামানত হিসেবে কমপক্ষে ২.৫ একর জমি থাকতে হবে। তবে ডাল, তৈলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষের জন্য জামানত হিসেবে কমপক্ষে ৫ একর জমি এবং গাভী পালন ও গ্রীষ্মকালীন ফসল/ধান চাষের জন্য কোন জামানতের প্রয়োজন নেই।

২) চলিত মূলধন ঋণ (Working Capital Loan)

পর্যাপ্ত মূলধনসহ চলমান ব্যবসায়, পাট ব্যবসায়ী, পাট রপ্তানি ও উৎপাদন এবং এই জাতীয় ব্যবসায়ের সাথে জড়িত, চামড়া, চামড়া জাতপন্য ব্যবসা, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ নানা ব্যাসায়ের জন্য চলিত মূলধন এর প্রয়োজন মেটাতে ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক চলিত মূলধন ঋণ (working capital loan) প্রদান করে থাকে।

চলিত মূলধন ঋণের শর্ত ও পাওয়ার যোগ্যতা

বাংলাদেশ জনতা ব্যাংকের চলিত মূলধন লোন পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে পর্যাপ্ত জামানত সহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ের সাথে জড়িত থাকতে হবে, ঋণের ১.৫-২ গুন সম্পত্তি (জমি, যন্ত্রপাতি, স্থাপনা, স্থায়ী সম্পত্তি) জামানত। ১ বছর সময়ের মধ্যে পরিশোধযোগ্য (কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি) ৯% সুদে চলিত মুলধন লোন প্রদান করে থাকে। তবে সুদের হার পরিবর্তনশীল। জনতা ব্যাংকের সকল শাখায় এই ধরনের লোন প্রদান করা হয়।

৩) গ্রিন ফাইন্যান্সিং

পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন ব্যবসায় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংক -এর মতো বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেডও গ্রিন ফাইন্যান্সিং প্রদান করে থাকে। সৌর প্যানেল স্থাপন, বায়োগ্যাস প্ল্যান স্থাপন ও সমন্বিত গাভী পালন, বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট, ইট ভাটার কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের উদ্দেশ্যে কোন প্রযুক্তি সম্পন্ন প্লান্ট স্থাপন, সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম স্থাপন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত পরিবেশ বান্ধব পন্য বা সেবা উৎপাদন, জৈব সার উৎপাদন, ও কেঁচো সার উৎপাদন এবং যে কোন পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক এই লোন প্রদান করে থাকে।

৪) হাউজ বিল্ডিং/ফ্ল্যাট লোন (সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য)

সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক গৃহ নির্মাণ লোন প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, পরিদপ্তর ও অধিদপ্তর, কারযালয়ের স্থায়ী ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জনতা ব্যাংক হোম লোণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হইবে। তবে কোন রাষ্ট্রায়ত্ব কিংবা স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠান এর কোন কর্মচারী এই লোন সুবিধা পাবে না। ঋণ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৬ বছর কিংবা তার কম। কোন কর্মকর্তা /কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই লোনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হইবে না।

৫) পল্লী ঋণ

বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক গ্রামীণ মানুষদের অত্মকর্মসংস্থান, স্বনির্ভর জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন, নারী কর্মসংস্থান, গ্রামীণ পরিবহন উন্নয়ন, ঘরোয়া কিংবা পারিবারিক ভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে থাকেন। পল্লী ঋণের অধীনে প্রায় ১০ ধরনের প্রকল্প রয়েছে প্রকল্পের ভিত্তিতে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামানত ও জামানত বিহীন লোন প্রদান করে থাকে।

৬) ট্যানারি ট্রেডিং (কাঁচা-চামড়া ক্রয় বিক্রয় ঋণ)

চামড়াজাত শিল্প ও চামড়া ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এমন ব্যবসায়ের জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক বিশেষ লোন সুবিধা চালু রেখেছে। সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে পরিশোধযোগ্য এই লোনের সুদের হার ৯% (পরিবর্তনশীল) এবং জামানত হিসেবে স্থায়ী ও ফাইনান্সিয়াল অবলিগেশন প্রস্তাবিত লোনের ১.৫গুন। বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড-এর সকল শাখায় এই লোন প্রদান করা হয়।

৭) জনতা ব্যাংক কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট লোন

কমার্শিয়াল অর্থাৎ কেনা বেচা করার জন্য ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট লোন প্রদান করে থাকে। শাখা ভবন ও ভাড়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ১৮ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছে মেয়াদী এবং শপিংমল, অফিস স্পেস, এপার্টমেন্ট বিক্রির উদ্দেশ্যে নির্মিত বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ২৪ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদী কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট লোন প্রদান করে থাকে।

জনতা ব্যাংক কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট লোনের শর্ত ও যোগ্যতা

লোনের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে, ইকুইটি বিনিয়োগ করার সামর্থ্য, বহুতল ভবন নির্মাণের পূর্ব অভিজ্ঞতা, রিহ্যাবের সদস্যপদ, লোন পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ক্যাশ ফ্লো, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় চলিত জমা হিসাব, ট্যাক্স পরিশোধের ডকুমেন্টস থাকতে হবে। জামানত হিসেবে লোনের জন্য সংশ্লিষ্ট জমি ও নির্মাণাধীন ভবন এর রেজিস্টার্ড মর্টগেজ হিসেবে জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে। এই লোনের সুদের হার ১২% চক্রবৃদ্ধি। তবে সুদের হার পরিবর্তনশীল।

৮) একক গৃহ নির্মাণ ও এপার্টমেন্ট ক্রয় ঋণ (Home Loan)

বাড়ি নির্মাণ কিংবা বাড়ি কেনার জন্য বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড হোম লোন বা একক গৃহ নির্মাণ ও এপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য মোট প্রকল্পের নির্মাণ ব্যায়ের সর্বোচ্চ ৬০% ঋণ প্রদান করে থাকে। লোন পরিশোধের সময়কাল ১ থেকে ১৫ বছর এবং মাসিক ১১% চক্রবৃদ্ধি সুদে নির্দিষ্ট কয়েকটি অনুমোদিত শাখার মাধ্যমে হোম লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। হোম লোনের জন্য সংশ্লিষ্ট জমি এবং নির্মাণাধীন বা নির্মিতব্য ভবন রেজিস্টার্ড মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকের নিকট জামানত রাখতে হবে।

জনতা ব্যাংক হোম লোনের যোগ্যতা ও শর্ত

আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, ইকুইটি বিনিয়োগ করার সামর্থ্য, লোন পরিশোধের জন্য অনুকূল ক্যাশ ফ্লো, জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা হিসাব, এবং হোম বা বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত/প্রকল্প সম্পত্তি গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

৯) কনজ্যুমারস ফাইন্যান্সিং

ভোক্তা ক্রেডিট, সাইবার ক্যাফে লোন, ঘর সংস্কার লোন, চাকরিজীবী ও ডাক্তারদের জন্য লোন, সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ লোন, স্বাস্থ্যসেবা ঋণ, সাপোর্ট পেনশন ঋণ, শিক্ষা ঋণ, অটো লোন কনজ্যুমারস ফাইন্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত।

লোনের যোগ্যতা ও শর্ত

এই ধরনের ঋণ পেতে ঋণ পেতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিকে বাংলাদেশী নাগরিক এবং সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হতে হবে। আরও প্রয়োজন হবে চাকরিরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যায়নপত্র। লোনের পরিমাণ মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১২ গুন। এই ধরনের লোন ২ থেকে ৪ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং সুদের হার ৯% (পরিবর্তনশীল)।

১০) শিক্ষা ঋণ

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, ব্যাংক, মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানিতে কর্মরত নির্বাহী/কর্মকর্তা/কর্মচারী যাদের চাকরির বয়স ২ বছর বা তার বেশি এবং মাসিক নীট বেতন নুন্যতম ২৫ হাজার বা তার বেশি তার এই ধরনের লোনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ঋণের আবেদন কারীকে পূর্বের সকল সেমিস্টার বা ইয়ারের পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সিজিপিএ অবশ্যই ২.৭৫ বা তার বেশি হতে হবে। জামানত বিহীন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং জামানতসহকারে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা লোন প্রদান করে থাকে। শিক্ষা ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর। জামানত হিসেবে যথাযথ ষ্ট্যাম্পে ঋণ পরিশোধের লিখিত গ্যারান্টি দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ রূপালী ব্যাংক লিমিটেড লোন পদ্ধতি

১১) জনতা কেয়ার স্বাস্থ্যসেবা ঋণ

জনতা কেয়ার-স্বাস্থ্যসেবা ঋণ অনেকটা শিক্ষা লোনের মতো। তবে এখানে পরীক্ষায় পাশ করা কিংবা নুন্যতম সিজিপিএ এর দরকার নেই। এখেত্রেও জামানত বিহীন লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা এবং জামানত সহকারে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা। জনতা কেয়ার-স্বাস্থ্যসেবা লোন ৬০ কিস্তি বা সর্বোচ্চ ৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর সকল শাখায় এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

১২) জনতা সাপোর্ট পেনশনভগীদের জন্য বিশেষ ঋণ

আপনি যদি একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার পেনশনভোগী হয়ে থাকেন তবে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। জনতা ব্যাংকের যে শাখা হতে আপনি আপনার পেনশনের টাকা উত্তোলন করেন সেই শাখায় এই লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। জনতা সাপোর্ট পেনশনভোগীদের জন্য বিশেষ ঋণ এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা এবং সুদের হার ৯% (পরিবর্তনশীল)। যদিও এই লোন জামানতবিহীন তবে লোনের বিপরীতে আপনাকে আপনার পেনশন হিসাবটি ব্যাংকের নিকট লিয়েন রাখতে হবে। অর্থাৎ মাসিক পেনশনের টাকা থেকে কিস্তি কেটে রেখে দিবে বাকি টাকা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন।

১৩) বিশেষায়িত ঋণ

গ্রামীণ পর্যায়ে বাইসাইকেল কেনার জন্য, প্রশিক্ষিত যুবকদের জন্য, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত লোন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের, নারী বান্ধব স্কুটারস ঋণ, মুক্তি যদ্ধাদের জন্য ঋণ, ১০ টাকার হিসাব ধারীদের জন্য লোন জনতা ব্যাংক বিশেষায়িত লোনের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই লোনের জন্য ট্রেড লাইসেন্সসহ ব্যবসায় থাকতে হবে। সুদের হার ৪% থেকে ৯% তবে পরিবর্তনশীল। জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন প্রদান করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন

জনতা ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করা নিয়ম

আপনার নিকটস্থ জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর শাখায় গিয়ে আপনি কোন ধরনের লোন পেতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে লোন অফিসারের সাথে কথা বলুন। ব্যাংক থেকে লোনফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ব্যাংকে জমা দিন। আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে ব্যাংক আপনার লোনের আবেদনটি গ্রহণ করলে নির্দিষ্ট সময় পরে আপনি জনতা ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে যাবেন।

সর্বশেষ

সম্মানিত ভিজিটর, আশা করছি বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর লোন সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। আমাদের লেখা নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা থাকলে লিখতে পারেন আমাদের কাছে।

আরও পরুন- সিটি ব্যাংক বাইক লোন, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড