বাংলাদেশের রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অন্যতম। বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ আইন-২০১০ এর মাধ্যমে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশগামী প্রবাসী, তাদের পরিবারের সদস্যদের ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরণের লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন প্রকার ঋণ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সঞ্চয়ী সেবা (সঞ্চয় প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম, বঙ্গবন্ধু সঞ্চয়ী স্কীম ও বিবাহ সঞ্চয় স্কীম) প্রদান করে থাকে।
সম্মানিত ভিজিটর, আপনি যদি বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবেন আর কিভাবে লোনের আবেদন করবেন, কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন।
প্রিয় ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কোথায় ও কিভাবে লোনের জন্য আবেদন করবেন, সুদের হার ও বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ লোন সম্পর্কে অন্যনায় বিষয়গুলো নিয়ে।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন
- ১) অভিবাসন লোন
- ২) পুনর্বাসন ঋণ বা রিহ্যাবিলিটেশন লোন
- ৩) বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
- ৪) বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
- কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করবেন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন।
- সর্বশেষ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমানে ৪ (চার) প্রকার লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে- অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ ও বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ।
চলুন এ পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিভিন্ন লোন সম্পর্কে বিস্তারতি জেনে নেওয়া যাক।
১) অভিবাসন লোন
আপনি বা আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি আপনার পরিচিত কারো মাধ্যমে বা কোন কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে চাকুরী বা কাজের জন্য বৈধ ভিসা লাভ করেন কিন্তু যাওয়া জন্য পর্যাপ্ত খরচ বহন করতে না পারেন তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনি বিদেশ যেতে পারেন। তবে অভিবাসন ঋণ বা লোন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে। যেখানে সুদের হার শতকরা ৯ টাকা। দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুসারে ২ মাস/১ বছর/২ বছর বা ২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত লোন পরিশোধ করতে হয়।
অভিবাসন লোন পাওয়ার যোগ্যতা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে-
- ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশের বৈধ ও স্থায়ী নাগরিক।
- বিদেশে চাকুরীর বৈধ ভিসা।
- অনুপস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ কারো ব্যাংক লোন পরিশোধ করার দায়িত্ব গ্রহণ (গ্যারান্টার)
- লোন গ্রহনের জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছলতা।
অভিবাসন লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহঃ
- সদ্য তোলা ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ভোটার আইডি কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- জামিনদারদের যে কোন একজনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ৩ টি পাতা। (MICR বা মিকার চেক)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত ফটোকপি।
- শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা মেডিকেল সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- বিএমইটি কতৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পাশের সত্যায়তি ফটোকপি।
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- যেখান থেকে বিমান টিকেট ক্রয় করবেন সে এজেন্সি দ্বারা তারিখ সহ সত্যায়িত কপি।
- ঋণ ফেরতের হলফনামা (ষ্ট্যাম্পে লিখিত)।
- বিমান টিকেট ফটোকপি (প্রয়োজন হলে)
আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম।
২) পুনর্বাসন ঋণ বা রিহ্যাবিলিটেশন লোন
দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে কাজ করে দেশে ফিরে চাকরি পাওয়া খুবই দুরুহ। পাশাপাশি বয়সও একটি বড় কারণ হয়ে দাড়ায় তবে বেঁচে-খেয়ে থাকার জন্য কিছু একটা করার দরকার হয়। আবার অনেক প্রবাসীকে ভিসা জটিলতা ও পররাষ্ট্রনীতির কারনে বা অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়। দেশে এসে সবালম্বি হতে চাইলে মূলধনের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দীর্ঘদিন বিদেশে কাজ করে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য সরল সুদে জামানত বিহীন ও জামানতসহ পুনর্বাসন লোন প্রদান করে থাকে। আপনি যদি একজন বিদেশ ফেরত প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে সকল কাজের বা প্রকল্পের জন্য পুনর্বাসন ঋণ প্রদান করে থাকে সেগুলো হচ্ছে- কৃষি ঋণ, মাঝারী ধরণের কৃষি নির্ভর প্রকল্প, মুরগির খামার স্থাপন, মৎস্য চাষ, বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন, সৌর জ্বালানী প্রকল্প, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ লোন, গরু মোটা তাজাকরন, দুগ্ধ খমার স্থাপন।
পুনর্বাসন ঋণ লোন যোগ্যতা
বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য নিন্মলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবেঃ
- বাংলাদেশের বৈধ ও স্থায়ী নাগরিক।
- বিদেশ থেকে সঠিক ভাবে ফেরত আসা ও বিদেশে কাজ করার প্রমান স্বরূপ বৈধ কাগজপত্র।
- লোন পেতে ইচ্ছুক ব্যাক্তির নিজের বা বাবার নামে সম্পত্তি।
- আবেদনকারীকে দেশে ফেরতের ৫ বছর বা তার কম সময়ের লোন মধ্যে আবেদন করতে হবে।
পুনর্বাসন ঋণ লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পুনর্বাসন ঋণ সহায়তা পাওয়ার জন্য নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-
- আবেদনকারীর জীবন বৃত্তান্ত (পরিবারের তথ্য সহ)
- ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স
- সদ্য তোলা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন সত্যায়িত ছবি।
- ভোটার আইডি কার্ড, ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- যে প্রকল্পের/ব্যবসায়ের জন্য লোন নিতে চান তার বিবরণ সহ ঠিকানা।
- ভাড়ার চুক্তিপত্র, নিজের জমি হলে মালিকানার দলিল।
- নতুন প্রকল্পের জন্য আগামী দুই বছরের আয় ও ব্যয় বিবরণী। আর পুরাতন প্রকল্প হলে বিগত ২ বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব।
- জমির দলিলপত্র সত্যায়িত কপি।
- বিদেশ থেকে ফেরত সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ভোটার আইডি কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- আবেদনকারীর কোন কাজ জানা থাকলে সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- সামাজিক ও আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ২ জন পরিচয়দানকারীর নাম, ঠিকানা, ফোন নং।
- লোন ফেরতের হলফনামা।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট করার নিয়ম।
৩) বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
আপনি বা আপনার পরিবারের কোন সদস্য ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড পেয়ে চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করলে ওই ব্যাক্তির পরিবারের যে কোন সদস্য যেমন- পিতা, মাতা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই, বোন, সন্তান বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সল্প সুদে সহজ শর্তে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লোন নিতে পারবে। যে সকলে খাতের জন্য বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ দেওয়া হয় সেগুলো হচ্ছে- কৃষি খাত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পেতে চাইলে আবেদনকারীর নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবেঃ
- বাংলাদেশী বৈধ নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮বছর বা তার বেশি থেকে ৫৫ বছর এর মধ্যে হতে হবে।
- অভিবাসী ব্যাক্তিকে নুন্যতম ১ বছর বা তার বেশি সময় বৈধ ভাবে বিদেশে কর্মরত থাকতে হবে।
- যে প্রকল্পের জন্য লোন নিতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- কোন প্রকার ঋণ খেলাপির ইতিহাস থাকা যাবে না।
- উন্মাদ কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামীরা লোনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হইবে।
- ঋণ পেতে ইচ্ছুক ব্যাক্তির আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ও সামাজিকে ভাবে গ্রহণযোগ্যতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ-
- পরিবারের যে সদস্য প্রবাসে আছেন তার সম্পর্কিত প্রমানপত্র সহ কাগজপত্র (পাসপোর্ট বহির্গমন সিলযুক্ত পাতা সহ, ভিসা, স্মার্টকার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
- অভিবাসী ব্যাক্তির অনুরোধ (অনুমতি) পত্র।
- রেমিট্যান্স এর বিবরণী।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ৩ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
- ভোটার আইডি কার্ড, ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার (চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট) সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি।
- ব্যবসায় থাকলে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
- জামানত সহ লোনের জন্য সম্পত্তির দলিল, খাজনা রশিদ, দায়মুক্ত সনদ, সিএস, আরএস, এসএ এবং বিএস পর্চার মূলকপি, ডিসি আর, মৌজা ম্যাপ, সিআইবি রিপোর্ট ও জমিজমাসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি ও মূলকপি।
৪) বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এ অনেকেই নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে প্রবাসীরা অন্যতম। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোভিড-১৯ এর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ অভিবাসী কর্মী পুনর্বাসন ঋণ নীতিমালা এর আওতায় বিশেষ ঋণ সুবধা চালু করেছেন। বিশেষ করে যারা কোভিড-১৯ এর কারনে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন এবং যাদের পরিবারের কোন সদস্য বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোভিড-১৯ এর কারনে মৃত্যুবরন করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরল ৪% সুদে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত এই বিশেষ ঋণ প্রদান করে থাকে।
যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ পেতে যে সকল কাগজপত্র ও যোগ্যতা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে-
- নুন্যতম ১৮ বছর বয়স।
- বাংলাদেশের বৈধ ও স্থায়ী নাগরিক।
- আবেদনকারীর পাসপোর্টের বহির্গমন ও আগমনের সীলযুক্ত পাতাসহ সত্যায়িত ফটোকপি, বৈধ পথে বিদেশ গমনের প্রমানপত্র, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরনের প্রমানপত্র।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ইতিপূর্বে কোন লোন থাকলে তা পূর্নপরিশোধিত হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বিমানে চড়ার নিয়ম ও টিপস।
কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করবেন
প্রিয় ভিজিটর, চলুন এ পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনি যে লোন পেতে ইচ্ছুক সেই লোনের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করে ব্যবস্থাপক বা পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোন অফিসারের সাথে কথা বলুন তারা আপনাকে সর্বাত্মক সাহায্য করবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন।
লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ
সম্মানিত ভিজিটর, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ে আপনাদের কোন জিজ্ঞাস কিংবা লেখা নিয়ে কোন মতামত থাকলে শেয়ার করতে পারেন আমাদের সাথে। বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোও প্রবাসীদের জন্য বিশেষ লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে সেখানেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত। জনতা ব্যাংক লোন।