https://tipswali.com/wp-content/uploads/2021/09/alkusi.jpg

আলকুশির নাম সবার সচারাচার জানা না নেই। আলকুশি গাছ অনেকের কাছে বিলাই খামচি নামেও পরিচিত। প্রিয় ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আলকুশি গাছ কি, আলকুশির উপকারিতা, ব্যবহার, দাম, বীজ কোথায় কিনতে পাওয়া যায়, ও এ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে।

আলকুশি কি?

আলকুশি হচ্ছে একধরণের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি মূলত একটি ঔষধি গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mucuna Pruriens. ইংরেজিতে এই গাছের নাম ভেলভেট বিন/velvet bean. এই গাছের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো এবং এই গাছের বীজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে। যা গায়ে লাগলে প্রচণ্ড চুলকানির সৃষ্টি হয়।

আলকুশির উপকারিতা

বিলাই খামচি বা আলকুশির নানা উপকারিতা অ গুনাগুন রয়েছে। সাধারণত লোকালয়ে এই গাছ দেখা যায় না বলে অনেকেরই এর উপকারিতা ও ব্যবহার জানা নেই। চলুন এ পর্যায়ে আলকুশির উপয়ারিতা ও ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক-

১. যন্ত্রনা কমায়

আমরা অনেক সময় বিশেষ করে বাগানে গেলে বা বাহিরে অনেক পোকামাকড়ের কামর খাই। এই কামর থেকে প্রচণ্ড যন্ত্রনা দেখা দিতে পারে। কোন পোকামাকড় বা বিছার দংশনে এই বীজ এর গুঁড়া লাগালে যন্ত্রনা অনেকাংশে করে যায়।

২. যৌন শক্তি বর্ধক

আলকুশিতে থাকা পুষ্টিগুণ যৌনাঙ্গের দুর্বলতা দূর করতে কার্যকরী। নিয়মিত সেবনের ফলে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত, কিংবা লিঙ্গ ক্ষীণ হয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই জন্য সামান্য চিনি ও দুধ এর সাথে সিদ্ধ করে খেতে পারেন।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

যাদের আমাশয় কিংবা নিয়মিত পেটে সমস্যা দেখা দেয় তারা আলকুশি বীজ এর গুড়া ও মধু মিলিয়ে খেলে পেট খারাপ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও এর শিকরের রস এক চামচ করে খেলে আমাশয় সারে।

৪. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে

শারীরিক শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আলকুশির বীজ বেশ কাজের। এই জন্য দিনের শুরুতে বা শেষে নিয়মিত একগ্লাস আলকুশির বীজের গুঁড়া ও দুধ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৫. ক্ষত সারাতে

জীবজন্তুর গায়ে ক্ষত দেখা দিলে এই গাছের শিকরের রস লাগিয়ে দিলে ক্ষত দ্রুত সারে।

৬. ফোড়া থেকে মুক্তি

আমাদের শরীরে ফোড়া থেকে প্রচণ্ড ব্যাথা দেখা দেয়। ফোড়া যত দ্রুত ফেতে যায় তত দ্রুত ব্যাথা থেকে মুক্তি মেলে। এই গাছের পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অল্পতেই ফেটে যায়। (ফেটে গেলে সেখানে দেওয়া যাবে না)।

আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়ম

অনেকেরই এই বীজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা নেই। ১ বা ২ চা চামচ আলকুশি বীজের গুঁড়া সামান্য গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খান। দুধ না থাকলে গরম পানিতে মিশিয়েও খাওয়া যায়। বাসায় মধু থাকলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে একটানা দুইমাস বা তার অধিক সময় খাওয়া উত্তম।

আলকুশি বীজের দাম

১০০ গ্রাম আলকুশি বীজের গুঁড়ার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সে হিসেবে ১ কেজি আলকুশি বীজের দাম ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা।

সর্বশেষ

নিয়মিত সেবনের মাধ্যমে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন। তবে এ নিয় সন্দেহ থাকেল বা ফলাফল ভালো না পেলে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন।

কোথায় আলকুশি বীজ কিনতে পাওয়া যায়?

হারবাল পন্যের দোকানে, অনলাইন শপে আলকুশি বীজ ও এর গুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়।

কত দিন আলকুশি বীজ খাওয়া উচিত?

ভালো ফলাফল পেতে একটানা ২ মাস কিংবা এর বেশি সময় নিয়মিত আলকুশি বীজের গুঁড়া খাওয়া উত্তম।

বাংলা ভাষায় নিয়মিত টিপস পেতে ভিজিট করুন আপনাদের প্রিয় টিপসওয়ালী ডট কম। আমাদের লেখা নিয়ে আপনাদের কোন মতামত, অভিযোগ, কিংবা পরামর্শ থাকেল শেয়ার করতে পারেনা আমাদের সাথে।

আরও পড়ুনঃ যষ্টিমধুর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম