https://tipswali.com/wp-content/uploads/2021/09/gift-item-idea.jpg

গিফট পেতে সবাই পছন্দ করে। তাও যদি হয় বিশেষ দিনে। ভ্যালেন্টাইন, মা-বাবা, ভাই, কাজিন, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, বন্ধু কিংবা বান্ধবীর জন্মদিন, কিংবা কোন বিশেষ দিনে একটি গিফট কারো খুশির মাত্রা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে।

গিফট দেওয়ার ক্ষেত্রে ছোট কিংবা বড়, দামী কিংবা কম দামী এটা মুখ্য বিষয় নয়। আপনি খুশি হয় কাউকে কিছু দিচ্ছনে বা কেউ আপনাকে দিচ্ছে সেটাই মুখ্য বিষয়।

প্রিয় মানুষটিকে গিফট হিসেবে কি দেওয়া যায় এ নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তির মধ্যে পরে যায়। আবার হুট করে মাথায়ও আসে না। আবার কোন দিনে কোন জিনিসটি উপহার দিতে হয় সেটিও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখা জুড়ে আপনাদের জন্য থাকছে ভ্যালেন্টাইন, বিশেষ দিন ও জন্মদিনের জন্য কিছু ইউনিক গিফট আইটেম আইডিয়া। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

জন্মদিনের গিফট আইটেম

কারো জন্ম দিন সবার কাছে একটি বিশেষ দিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ছোট একটি গিফট এই বিশেষ দিনটিকে আরও বেশি আনন্দময় করে তুলতে পারে। সবার জন্মদিনে সব রকম উপহার সামগ্রী দেওয়া যাবে না। আপনার সাথে ওই মানুষটার সম্পর্ক কি এর উপর বিবেচনা করে গিফট দেওয়া উচিত।

১. বই – সেরা গিফট

কাউকে কোন কিছু গিফট করার জন্য সেরা জিনিস হচ্ছে বই। এটি এমন একটি জিনিস আপনি সবাইকে গিফট করতে পারে। হতে পারে উপন্যাস। কারো জীবনী কিংবা কোন ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে লেখা। তবে আবার পাঠ্যবই কিনে দিয়েন না। হাহহাহা।

২. ঘড়ি

ঘড়ি বিশেষ করে ছেলেদের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট একটি গিফট। আপনি যদি আপনার ভাই, বন্ধু, কলিগ, বয়ফ্রেন্ড বা যে কাউকেই এটি গিফট করতে পারেন। মেয়েদের জন্যও এটি একটি পারফেক্ট গিফট হতে পারে। ছেলে ও মেয়েদের ঘড়ি আলাদা তাই তাড়াহুড়ো করে কিনতে গিয়ে ভুল কিছু নিয়ে আসেন না যেন, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।

৩. টি-শার্ট

আজকাল ছেলে মেয়ে উভয়েই টি-শার্ট পড়ে। জন্মদিনে ছেলেদের জন্য শার্ট বা শার্ট হতে পারে একটি দারুন উপহার। এক্ষেত্রে পোলো টিশার্ট দেওয়া উচিত। তবে জানার চেষ্টা করুন যাকে উপহার দিতে যাচ্ছেন সে কোন ধরনের টি শার্ট বা শার্ট পছন্দ করে।

৪. পারফিউম

দামি কমদামি উভয় ধরনের পারফিউম পাওয়া যায়। মোটামুটি ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে একটি পারফিউম কিনলে বেশ ভালোমানের ও ব্র্যান্ডের পারফিউম কিনতে পারেন। কারো জন্মদিনে ঘড়ির সাথে একটি পারফিউম দেওয়া যেতে পারে। বা আপনি চাইলে শুধু পারফিউম ও গিফট হিসেবে দিতে পারেন।

৫. ব্রেসলেট

ঘড়ির বদলে ব্রেসলেট হতে পারে একটি চমৎকার উপহার আইটেম। তবে খেয়াল রাখবেন অনেকে কিন্তু ব্রেসলেট পড়তে পছন্দ করে না বা পড়ে না। তবে ভালো মানের ব্রেসলেট দিলে অবশ্যই পড়বে।

৬. সানগ্লাস

সানগ্লাস অনেকেরই একটি পছন্দের আইটেম। ট্রাভেল কিংবা পার্টিতে সানগ্লাস পড়ে। আজকাল অনেকে তো দিনের বেলা বাইরে বেড় হলেই সানগ্লাস পড়ে বেড় হয়। ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা সানগ্লাস রয়েছে। কারো জন্মদিনে মানিব্যাগ/পার্স, পারফিউম, সানগ্লাস এর একটি কম্ব আইটেম উপহার দিতে পারেন।

৭. পার্স

বান্ধুবির জন্মদিনের গিফট হিসেবে পার্স হতে পারে সিম্পলের মধ্যে গরজিয়াস একটি উপহার আইটেম। মোটামুটি বাজেটের মধ্যে আপনি পার্স কিনতে পারবেন। তবে আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন আর পার্স কেনার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনার মেয়ে বান্ধবীর সাহায্য নিতে পারেন। আবার অনলাইনেও অর্ডার দিতে পারেন।

৮. ড্রেস/জামা-কাপড়

নতুন ড্রেস কেবল ঈদের সময়ই পছন্দ করে না। আপনি চাইলে যে কোন সময় এটি গিফট করতে পারেন। ভ্যালেন্টাইন, কিংবা অনেক দিন পড়ে দেখা হওয়ার সুবাদে আপনি আপনার কাজিন, ফ্রেন্ড বা কাছে যে কেউকে এটি উপহার হিসেবে দিতে পারেন।

৯. রিং

রিং বা আংটি মেয়েদের জন্য অন্যতম একটি আকর্ষণীয় জিনিস। আপনি চাইলে আপনার বোন, মা, কিংবা প্রেমিকার জন্মদিনে একটি রিং বা আংটি গিফট করতে পারেন।

ভ্যালন্টাইন গিফট

আসলে ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রত্যেকটি দিনই ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন দিবস। আপনি আপনার প্রিয় মানুষটাকে কোন বিশেষ দিবসে উপহার দিলে সে হয়তো একটু বেশি খুশি হয়। তবে আপনি নিচের উপহার সামগ্রী গুলো যেন কোন দিনে দিয়ে সারপ্রাইজ দিতে পারেন-

১০. নেকলেস

মেয়েদের পছন্দের সেরা একটি অলংকার নেকলেস। বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন, ভ্যালেন্টাইন, বিয়ে কিংবা যে কোন বিশেষ দিনে আপনি আপনার প্রেমিকা, বান্ধবী, স্ত্রী কিংবা বোনকে এটি উপহার দিতে পারেন।

১১. প্রিন্ট করা মগ

আজকাল ফেসবুকে কিংবা অনলাইনে অনেক বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে যে তারা আপনার পছন্দের ছবি প্রিন্ট করা মগ নির্দিষ্ট কিছু টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করে থাকে। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের মানুষের ও আপনার ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা মগ গিফট করতে পারেন।

১২. ফ্রেমে বাঁধানো আঁকা ছবি – ইউনিক গিফট

আপনি যদি কারও জন্য সারপ্রাইজ গিফট আইডিয়া বা আইটেম খুঁজে থাকেন তবে কারো আঁকা ছবি হতে পারে সিম্পলের মধ্যে জোশ একটা আইটেম। আপনি নিজে না পারলে আজকাল অনেক ফেসবুক পেজ রয়েছে যারা আপনার পছন্দে ছবিটি একে ফ্রেমে আপনার কাছে ডেলিভারি দিয়ে যাবে। আপনি চাইলে কারো ঠিকানায় এটি পাঠিয়ে দিতে পারেন।

১৩. ফটোবুক

এই ধরুন আপনার সাথে একটি মানুষের অনেক দিনের পরিচয়। এক সাথে অনেক যায়গায় গেছেন। আপনার আর তার অনেক ছবির কালেশন আপনার কাছে আছে। একটি ফটোবুকে এই ছবিগুলো প্রিন্ট করে ফটোবুকটি তাকে গিফট করতে পারেন।

১৪. ফুলদানি/ফুলের তোরা

ফুল ভালবাসে না এমন মানুষ কমই খুঁজে পাবেন। ভালোবাসা মানুষকে ফুল আর চিঠি দিয়ে প্রপোজ করার রেওয়াজ বেশ পুরাতন। বিশেষ দিনে আপনি আপনার প্রেমিকা/বান্ধবীকে ফুলদানি বা ফুলের তোরা দিতে পারেন।

১৫. চকলেট – বিশেষ গিফট

বাচ্চারা আর মেয়েরা চকলেট অনেক বেশি পছন করে। কারো বার্থডেতে গিফট হিসেবে চকলেট হতে পারে একটি চমৎকার বার্থডে গিফট আইডিয়া। বিভিন্ন স্বাদের ও ডিজাইনের চকলেট কিনতে পাওয়া যায়। কয়েক ধরনের চকলেট কিনে একটি গিফট বক্স বানিয়ে গিফট করতে পারেন।

বাচ্চাদের জন্মদিনের গিফট আইটেম

বাচ্চাদের জন্মদিনের গিফট নিয়ে অনেকেই দোটানায় পড়ে যায় কি দিবে না দিবে না। যদিও চকলেট কেক বাচ্চাদের জন্য চমৎকার ও ক্লাসি গিফট। তবে বাচ্চাদের জন্মদিনে নিচের গিফটগুলোও হতে পারে দারুন কিছু-

১৬. ছবি আকার উপকরন

আজকাল অনেক বাচ্চারাই ছবি আঁকতে পছন্দ করে। বাচ্চাদের জন্মদিনে ছবি আকার উপকর দেওয়া যেতে পারে। বাজারে মোটামুটি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে অনেক ড্রয়িং বক্স কিনতে পাওয়া যায়।

১৭. খেলনা – বাচ্চাদের জন্য সেরা গিফট

খেলনা নিয়ে বাচ্চাদের না নেই। ২-৭ বছরের বাচ্চাদের জন্মদিনের উপহার হিসেবে খেলনা উপহার দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেলনা গাড়ি, কিংবা অন্যান্য খেলনা সামগ্রী উপহার দেওয়া যেতে পারে।

১৮. ড্রেস

নতুন ড্রেস পেতে বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে। বাচ্চাদের জন্য বাহারি ডিজাইনের ড্রেস কিনতে পাওয়া যায়। আপনি কোন বাচ্চাকে কিছু উপহার হিসেবে দিতে চাইলে আপনার সাধ্য মত কোন ড্রেস উপহার দিতে পারেন।

সর্বশেষ

উপহার দিতে পারা উপহার পাওয়ার চেয়ে বেশি আনন্দের। সব সময় উপহার পাওয়ার আশা না করে মাঝে মাঝে অন্যকে উপহার দিন। এতে আপনার মন ভালো থাকবে। মা-বাবাকে, ছোট ভাই-বোন, চাচা-চাচি, খালা-খালু, মামা-মামি, ফুপু-ফুপা, নানা-নানি, দাদা-দাদি, কাজিন(চাচাতো/মামাতো/খালাতো/ফুপাতো) এদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখুন।

দিন দিন আমরা শিকর থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। যা আমাদের জন্য অশুভ লক্ষন। আত্মীয়র সাথে সম্পর্ক নেই অথচ আমরা বাহিরের মানুষ নিয়ে বেশি মত্ত থাকি। হ্যা পারিবারিক কলহ থকতে পারে। চেষ্টা করুন কিভাবে এগুলো ভুলে দূরে থাকা যায়। যোগাযোগ রক্ষা করুন সম্পর্ক ভালো থাকবে। কেউ ফোন দেয় না বলে আপনি দিবে না এটা না করে আপনি আগে থেকে ফোন দিন।

আরও পড়ুনঃ জন্মদিনের ইউনিক শুভেচ্ছা বার্তা/স্ট্যাটাস