https://tipswali.com/wp-content/uploads/2021/02/interview-tips-bangla.jpg

চাকরি হওয়া বা না হওয়া সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির উপর নির্ভর করে টা হচ্ছে ইন্টারভিউ। অর্থাৎ আপনার চাকরি হবে না হবে না তার অনেকটা নির্ভর করে আপনার ইন্টারভিউ এর পারফর্মেন্স এর উপর। জব ইন্টারভিউ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে চাকরির সাক্ষাৎকার।

কয়েক ধাপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শেষ হতে পারে। যেমন অনেক সময় লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়, আবার অনেক সময় সরাসরি ভাইভা বা ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে পরিচিত কোথাও চাকরি হলে সেখানে কোন ধাপ নাও মানা হতে পারে। মূলত পরিচিত জনদের মধ্যে চাকরি হলে এমনটা হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের নিয়োগ প্রফেশনাল নয়।

যাহোক মূল কথায় আশা যাক। প্রিয় ভিজিটর আমাদের মধ্যে অনেকেই ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় সামান্য কিছু ভুলের কারনে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চাকরিটি হাত ছাড়া করে ফেলি। কিছু টিপস মেনে চললে আপনি এই বিপদ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেতে পারেন।

সম্মানিত ভিজিটর, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে বিগত ২ বছর যাবত কাজ করছি। প্রায় কয়েক মাস পর পরই আমার কর্মস্থলে নতুন চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়ে থাকি। আর আজকের লেখায় আমি আমার এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু চাকরির ইন্টারভিউ টিপস শেয়ার করতে যাচ্ছি। আর আমি আশা করছি আজকের এই লেখাটি আপনারা যারা বিশেষ করে প্রথম বারের মতো চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন এবং পূর্বেও চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছেন সকলের জন্য উপকারি হবে।

চাকরির ইন্টারভিউ মানে কি?

চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে, চাকরির আবেদনকারী কোন নির্দিষ্ট কাজের উপযুক্ত কিনা সেটি নির্ধারণ বা যাচাইয়ের জন্য আবেদনকারী ও নিয়োগকর্তার প্রতিনিধির মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এই বৈঠকে নিয়োগকর্তার প্রতিনিধি আবেদনকারীকে কিছু কথোপকথনের এবং কিছু প্রশ্ন করে থাকেন।

জব ইন্টারভিউর জন্য ২০ টি টিপসঃ 

১) আপডেটেড সিভি

চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে সিভি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব সময় একটি আপডেটেড সিভি প্রস্তুত রাখুন। আপনি হয়তো আবেদন করার সময় সিভি ইমেইল করতে পারেন বা জমা জমা দিয়ে ফেলছেন এই ভেবে সিভি না নিয়ে আসতে পারেন এটা করা যাবে না।

ইন্টারভিউ এর সময় হাতে একটি সিভি রাখুন। সাথে আপডেটেড একটি ছবি। অবশ্যই পরিষ্কার ও সঠিক বানান সমৃদ্ধ। যদি অন্যান্য কোন কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয় সেগুলোও সাথে রাখুন।

২) কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন

কোন জব ইন্টারভিউতে উপস্থিত হওয়ার কয়েক দিন আগেই আপনি যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে চাকরির ভাইভা দিতে যাচ্ছেন তাদের সম্পর্কে ও তারা কোন ধরনের পন্য বা সেবা বিক্রি করে থাকে সে সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার চেষ্টা করুন।

ইন্টারনেটের এই যুগে অনলাইনে একটু খোঁজাখুঁজি করলেই ধারনা লাভ করা সম্ভব। তবে অনলাইনে না পেয়ে থাকলে আপনি যে সোর্স হতে চাকরির সন্ধান পেয়েছেন সেখান থেকে খোঁজ নিন। বেশির ভাগ ইন্টারভিউতে ভাইভা বোর্ডে থাকা প্রতিনিধি আপনাকে জিজ্ঞাস করবে আপনি কোথায় ইন্তারভিউ দিতে এসেছেন? কে আমাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে কিংবা কিভাবে আমাদের সম্পর্কে জানলেন? আমরা কি ধনের পন্য বা সেবা দিয়ে থাকি?

৩) তারিখ ও সময়  মনে রাখুন

ইন্টারভিউ এর সময় ও তারিখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন সময় তারিখ না মনে থাকলে আপনি সঠিক সময় ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

জব ইন্টারভিউ এর এক দিন আগে ওই দিনের জন্য অ্যালার্ম সেট করুন। আপনার বাসার কাউকে জানিয়ে রাখতে পারেন। এর ফলে কোন ভাবে অ্যালার্ম মিস হলেও তারা আপনাকে সময় মনে করে দিতে পারে।

ইন্টারভিউ সকালে হলে অবশ্যই  আগে আগে ঘুম থেকে উঠুন। ঢাকা শহরে জ্যামের কথা বিবেচনা করে যদি মিরপুর থেকে মতিঝিলে ইন্টারভিউ দিতে যান ২-৩ ঘণ্টা সময় হাতে রাখতে হয়। এভাবে আপনার এরিয়া কিংবা ওইদিন রেডিওতে ট্রাফিক আপডেট জেনে নিতে পারেন।

আগের দিন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন আর চাকরির ইন্টারভিউ বিকালে হলে দুপুরে ১ থেকে ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন।

৪) শেভ-চুল

আমি অনেককেই খেয়াল করেছি মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ কিংবা ফ্যাশনেবেল দাঁড়ি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসেন। আমি বলবো খুবই একটি বাজে দিক। তবে আপনি দাঁড়ি রাখলে সঠিক নিয়মে রাখুন এবং অবশ্যই পরিপাটি রাখুন।

অনেকেই যে সময় জব ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে সেই সময়ই শেভ করেন কিংবা চুল কাটেন। সাথে সাথে শেভ করে বাহিরে বের হলে কিছু সময় পরে ফ্যাঁকাসে ফ্যাঁকাসে মনে হয়। সবসময় একদিন আগে চুল কাটা ও শেভ করার চেষ্টা করুন। এবং অবশ্যই চুলে উল্টাপাল্টা কাটিং দেওয়া হতে বিরত থাকুন। বাসা বসে ট্রিমার ব্যবহার করেই শেভ করে নিতে পারেন।

৫) পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন

পরিষ্কার পরিছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আপনি যতই তুখড় ছাত্র হয়ে থাকেন না কিংবা অনেক অভিজ্ঞতা থাকলেও পরিষ্কার পরিছন্নতার অজুহাতে আপনাকে ইন্টারভিউত থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

মুখে স্কিনের সাথে মানানসই এমন কোন ফেস ওয়াস ব্যবহার করুন। শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

আমাদের মধ্যে অনেক মেয়েরাই নখ রাখতে পছন্দ করে থাকে। তবে না রাখাই উত্তম। যাহোক হাতে নখ থাকলে অবশ্যই খেয়াল রাখুন সেগুলো পরিষ্কার কিনা। সাথে অবশ্যই দাঁতও পরিষ্কার রাখুন।

৬) ইন্টারভিউ ড্রেস কোড অনুসরন করুন

মেয়েদের ইন্টারভিউ ড্রেসঃ ক্যাজুয়াল ফরমাল আর পার্টি ড্রেস এর মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই জানেন। আমাদের দেশের মেয়েরা ইন্টারভিউতে সাড়ি পড়ে যেতে পারেন তবে অবশ্যই ফুল স্লিপ ব্লাউজ  পড়ুন। অথবা সালোয়ার-কামিজ কিংবা সিম্পল কুর্তি পড়তে পারেন। তবে আপনি যদি চান তবে ওয়েস্টার্নও পড়তে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন আপনার জব ন্যাচার এর সাথে সেটা যায় কিনা। অরতিরিক্ত মেকআপ এবং লিপস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

ছেলেদের ইন্টারভিউ ড্রেসঃ  বাঙালী ছেলেরা এক কালারের স্যুট পড়ুন। একটি সাদা ফুল হাতার শার্ট, স্যুটের সাথে ম্যাচিং করে টাই, কালো কিংবা ব্রাউন কালারের লোফার পড়ুন। তবে আপনি যদি দেখেন কোম্পানি অতোটা স্ট্রিক্ট না তবে আপনি সেমি ক্যাজুয়াল পোশাকও পড়তে পারেন। শার্টের নিচে একটি আন্ডার-টি শার্ট পড়ুন। ছেলেদের বিউটি টিপস

৭) একটি হাত ঘড়ি পড়ুন

হাত ঘড়ি বিশেষ করে ছেলেদের অলংকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আপনার হাতে একটি উপযুক্ত হাত ঘড়ি আপনার লুক বদলে দিতে সক্ষম। কালো কিংবা চকলেট কালারের বেল্ট ও ঘড়ির ভিতরের দিকে (টাইম লেখা জায়গা) সাদা এমন দেখে ঘড়ি পছন্দ করুন। মেয়েরাও হাতে একটি চিকন কালো কালারের বেল্ট এর ঘড়ি পড়ুন এটি আপনার লুক বদলে দিবে।

৮) ইন্টারভিউ এর আগে নাস্তা করে বের হন

ক্ষুধা পেলে কিছুক্ষণ পড়ে আমাদের চেহারা মলিন হয়ে যায়। শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে ফলে স্বাভাবিক চলাফেরা কিংবা কথাবার্তায় বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও আপনার ব্রেইনও ঠিক মতো কাজ করবে না। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অনেক প্রার্থীর সিরিয়াল থাকলে আপনার সিরিয়াল অনেক পিছনে থাকলে আপনাকে অনেক সময় বসে থাকতে হতে পারে। সব চেয়ে ভালো হয় সাথে একটি পানির বোতল রাখা।

৯) প্রবেশ অনুমতি নিন

আমি অনেককে দেখেছি রুমে অনুমতি না নিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়ে। আবার গিয়ে সরাসরি চেয়ারে বসে পড়ে।, এগুলো আসলে একদমই উচিত না। ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশের আগে অবশ্যই অনুমতি নিন। মে আই কাম ইন? অথবা আসে পারি? অনুমতি মাথা নাড়িয়েও দিতে পারে খেয়াল রাখুন।

অনুমতি পেলে বসতে না বলা পর্যন্ত চেয়ারের কাছে গিয়ে দাঁড়ান। সিট ডাউন অথবা টেক ইউর সিট প্লিজ বললে বেসুন এবং ডান হাত দিয়ে আপনার সিভিটি এগিয়ে দিন।

১০) মানুষিক ভাবে শক্ত থাকুন

নেওয়ার সময় আমি অনেক সময় খেয়াল করছি অনেক জব প্রার্থী রীতিমতো কাপাকাপি শুরু করে দেয়। অনেক নার্ভাস। তাদের মধ্যে একটা ভয় ভয় কাজ করে।

মনে রাখবেন আপনি জব এর জন্য একটা সাক্ষাৎকার দিতে আসছেন। আপনার কোন ভুল হলে আপনাকে কেউ বকা দিবে না কিংবা আপনাকে জরিমানা করা হবে না। আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভাইভা বোর্ড বা ইন্তারভিউ এর প্রতিনিধিরাও আপনার মতো চার হাত-পা এর মানুষ একজন মানুষের সামনে বসে কথা বলছেন।

১১) হাসিমুখ

হাসিতে ফাসি শুধু যে প্রেমের বেলায় হয় তা কিন্তু নয়। ইন্টারভিউ এর সময় মুখে মুচকি হাসি রাখুন। তবে উচ্চ শব্দে হেসে হেসে কথা বলা নির্বোধ এর কাজ হবে। আপনার হাসি নিয়োগ কর্তার প্রতিনিধিদের আপনার চোখের দিকেই ফোকাস করাবে।  এছাড়াও এটি আপনার কনফিডেন্স এর বহিঃপ্রকাশ করে।

১২) মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখুন

কখন যে কে আপনাকে ফোন করবে কিংবা এসএমএস চলে আসবে আপনি নিশ্চিত নয়। আমি  ইন্টারভিউতে আসা অনেক চাকরি প্রার্থীদের খেয়াল করছি তারা ফোন সাইলেন্ট রাখে না। ইন্টারভিউ এর সময় মোবাইল বেজে ওঠা একদমই বাজে দেখায়। আর এরকম হলে নিয়োগ প্রতিনিধিরা মনে করবে আপনা কমন সেন্স এর অভাব রয়েছে।

১৩) মনযোগী হন

ইন্টারভিউ বোর্ডে মূলত আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে আপনার যোগ্যতা যাচাই করা হয়। আর আপনি যদি কোন ভাবে খেয়াল না করে ভুল উত্তর দিয়ে থাকেন তবে আপনার চাকরির আশা ওখানেই ছেড়ে দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় রাস্তা নেই।

অনেক সময় আপনি প্রশ্ন না বুজতে পারেন, এটা স্বাভাবিক এজন্য আপনি সরাসরি আবার জিজ্ঞাস করুন। কাম-অফ এগেইন, অথবা সরি? আই ডিডেন্ট ক্যাচ ইউ! এভাবে জিজ্ঞাস করতে পারেন।

১৪) চাকরির ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে বলা

প্রায় ৯৯.৯৯% চাকরির ইন্টারভিউতে আপনাকে নিজের সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হয়। চলুন জব ইন্টারভিউতে নিজের সম্পর্কে বলা নিয়া একটু বিসাদ আলোচনা করা যাক। নিজের সম্পর্কে বলুন বলতে নিয়োগ প্রতিনিধি আপনার কাছে নিচের তিনটি বিষয় জানতে চায়ঃ

তিনি আপনার সম্পর্কে জানতে চায় অর্থাৎ আপনি কি আসলে যোগ্য কিনা। আপনি কি আসলে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থানপন করতে পারেন। আপনি অল্প সময়ে কতোটা ঘুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারেন।

আপনার সম্পর্কে জানতে চাইলে কি বলবেন? প্রথমেই আপনার নিজেকে দিয়ে শুরু করেন। এর পর একে একে আপনার স্কুল, পড়ালেখা, কোন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করছেন সেগুলো বলুন। আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর স্কলারশিপ কিংবা প্রথম স্থান অধিকার করেন (সাফল্য) সেগুলো বলতে পারেন। পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা, আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ, আপনার দুই একটি ভালো গুন, আপনি দুই একটি দুর্বলতা ও কিভাবে কাটিয়ে উঠেন সেগুলোও বলুন। সব মিলিয়ে ২- ২.৩০ মিনিটের মধ্যে কথা বলা শেষ করুন। আমতা আমতা করা থেকে বিরত থাকুন।

১৫) ইন্টারভিউতে যে সকল কথা মনের ভুলেও বলা উচিত না

আপনার নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হলে অনেকেই পারিবারিক তথ্য উপস্থাপন করা শুরু করে। যেমন- বাবার নাম, মায়ের নাম, বাবা মা কি করে পরিবারে কয়জন ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ে কথা বলা যাবে না। এছাড়াও আপনি যে পদের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন সে বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয় সেগুলো বলা যাবে না।

১৬) আগের কর্মস্থল সম্পর্কে কথা বলা

পূর্বে কোথাও বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মাধ্যমে আমি আপনি অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকি। তবে নতুন কোন প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আগের প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে খারাপ কোন মতামত বা তাদের খারাপ বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে না। এতে করে আপনাকে নিন্দুক মনে করতে পারে। তবে আপনি সেখান থেকে যে সকল অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন সেগুলো উপস্থাপন করতে পারেন। এছাড়াও সেখানে আপনার দায়িত্ব কি ছিল সেগুলো বলুন।

১৭) তাড়াহুড়ো করা থেকে বিরত থাকুন

কথা বলার সময় তাড়াহুড়ো করার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কোন ভাইভা বোর্ডের দায়িত্তে থাকা কর্মকর্তারা আপনাকে কোন প্রশ্ন করলে ভালো ভাবে বুজে সাবলীল ভাবে উত্তর দিন। তাড়াহুড়ো করলে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর ভুল উত্তর সবসময় ক্ষতিকর।

১৮) ভাষার মাধুর্য রক্ষা করুন

কথা বলার সময় সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ পরীক্ষার খাতায় যেমনি নিষেধ কথাবার্তা বলার সময়ও একই ভাবে প্রযোজ্য। আর ইন্টারভিউ বোর্ডএ সেটা এক প্রকার পাপ। জব ইন্টারভিউতে কথা বলার সময় আঞ্চলিকতাও পরিহার করুন। একদম আসতে কিংবা খুব জোরে কথা বলা থেকেও বিরত থাকুন। কথা বলায় সময় ভয়সেসে আপডাউন রাখুন।

১৯) বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

কথা বলার সময় রোবটের মতো বসে থাকা কিংবা বেশি নড়াচড়া করা উভয়ই খারাপ দেখায়। কথা বলার সময় বডি ল্যাংগুয়েজ ঠিক রাখুন। অনেকে কথা বলতে বলতে পা নাড়াচাড়া করে, কিংবা হাত দিয়ে এটা সেটা খোঁচাখুঁচি করে এটা এক ধরনের মুদ্রা দোষ। আপনার মধ্যে এই সকল মুদ্রা দোষ থাকলে আজই পরিহার করুন।

২০) মিথ্যা বা ভুল তথ্য

ইন্টারভিউতে টিকে থাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। অনেক সময় আপনাকে এমন কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে যা আপনি জানেন না। কিংবা জানেন না কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে সংকোচ বোধ করতে পারেন। সরাসরি না বলে দিন। ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলা কিংবা উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ইন্টারভিউতে আরও যেসব কমন প্রশ্ন করা হয়ে থাকে

প্রিয় ভিজিটর, চাকরির ইন্টারভিউতে আপনার নিজের সম্পর্কে বলতে বলার পাশাপাশি আপনাকে আরও কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে। নিচে জব সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাস করা কিছু কমন প্রশ্ন দেওয়া হলঃ

আপনার আগের কাজের অভিজ্ঞতা, আপনাকে আমরা কেন হায়ার করবো? আপনার সব চেয়ে বড় দুর্বলতা কি, কোন বিষয়ে দক্ষ, আগামী ৫ বছর পর আপনি নিজেকে কোন পজিশনে দেখতে চান, আপনার কাঙ্ক্ষিত স্যালারি কতো, আপনি কেন আগের জব ছেড়েছেন, আপনার কি কোন প্রশ্ন আছে ইত্যাদি।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.